বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি নেতা ইশরাকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী আজিজ-বেনজীরকে প্রটেকশন দেবে না সরকার : সালমান এফ রহমান হামাসের বুবি-ট্র্যাপ : গাজায় ৩ ইসরাইলি সৈন্য নিহত দিল্লিতে রেকর্ড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৯.৯ সেলসিয়াস জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলা ও ক্ষুদ্র দ্বীপদেশগুলোর উন্নয়নে জোর আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়া বন্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ সবাইকে শেষ করো : ইসরাইলি গোলায় নিকি হ্যালি পানির দাম ১০ শতাংশ বাড়াচ্ছে ঢাকা ওয়াসা শাহজালাল বিমানবন্দরে ২ কেজি স্বর্ণসহ নারী কেবিন ক্রু গ্রেফতার
বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার বিকল্প কী, জানালেন মিলার

বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার বিকল্প কী, জানালেন মিলার

স্বদেশ ডেস্ক:

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ তথ্য জানানোর পরই এ ইস্যুটি রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। সামাজিক মাধ্যমে সয়লাব হয়ে যায় সরকার, বিরোধীদলসহ সরকারি কর্মকর্তার নাম। আর এ বিষয়ে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছে মার্কিন দপ্তর।

সবশেষ বৃহস্পতিবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন যেকোন ব্যক্তির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিকল্প কী হতে পারে সে বিষয়টি স্পষ্ট করেন ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার বিকল্প হাতে রাখে যুক্তরাষ্ট্র, যতক্ষণ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের উপযুক্ত সময় না হয়, ততক্ষণ তা প্রয়োগ না করে বিকল্প কিছু প্রয়োগ করা হয়।’

তিনি জানান, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুন্ন করতে পারে, এমন যে কোনো ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের বিকল্পও হাতে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। যথোপযুক্ত সময়ে সেটি প্রয়োগ করা হবে।

এ সময় ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, স্থানীয় একটি বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার নিরাপত্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুধু তার নিরাপত্তায় নয়, দূতাবাসের কর্মীরাও নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছেন। সুতরাং তার উদ্বেগ বৈধ, বেশ বৈধ, কারণ আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উপর কয়েকটি হামলা দেখেছি। মিলার, এই উদ্বেগগুলোকে কী গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন?

উত্তরে মিলার বলেন, ‘আমি মার্কিন দূতাবাস বা সেখানে কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিবরণ নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি না। আমি বলব যে অবশ্যই কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে, প্রতিটি আয়োজক দেশকে অবশ্যই সমস্ত কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দূতাবাস কর্মীদের উপর কোনও আক্রমণ প্রতিরোধে সমস্ত কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে এবং আমরা আশা করি যে সরকার আমাদেরসহ দেশের সকল বিদেশি মিশন কর্মীদের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেবে।’

তাকে আরও প্রশ্ন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশে আরও বেশি ভিসা বিধিনিষেধের কথা ভাবছে। সরকারপন্থী মিডিয়াসহ যারা সরকারকে দানব হতে সাহায্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে?

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিয়েছি। যাদের আমরা বিশ্বাস করি যে তিনি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নষ্ট করার জন্য দায়ী বা জড়িত।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877